শিরোনামোক্ত বিষয়ে এসিএফআইডি সার্কুলার নং – ০২ তারিখঃ ০২/০৬/২০১৫ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। উক্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কীমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ঃ-
১. অনধিক তিন মাসের মধ্যে প্রজননক্ষম হতে পারে এমন বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে, দেশী জাতের (Indigenous) বকনা বাছুরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
২. প্রতিটি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) এবং রক্ষণাবেক্ষন/লালনপালনের জন্য ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) অর্থাৎ প্রতিটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঋণ প্রদান করা যাবে।
৩. সর্বোচ্চ ৪ (চারটি) বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য অনধিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা উক্ত স্কীমের অধীনে ঋণ প্রদান করা যাবে।
৪. সুবিধাভোগী ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী এবং প্রান্তিক খামারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৫. উপরোক্ত সার্কুলারের ২(খ) অনুচ্ছেদে আসল পরিশোধের সময়সীমা অনধিক ৩ বছরের স্থলে ৫৪ মাস হবে।
৬. উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণগ্রহীতা অনধিক ১৪ মাস গ্রেস পিরিয়ড পাবেন।
৭. ঋণ গ্রহীতাকে ৩৬-৫৪ মাসের (গ্রেস পিরিয়ড সহ) মধ্যে গৃহীত ঋণ সমন্বয় করতে হবে ।
৮. উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গাভীকে প্রকল্পের মেয়াদকাল পাঁচ বছরের মধ্যে প্রজননকালে প্রতিবারই কৃত্রিম প্রজনন নিশ্চিত করতে হবে।
৯. সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ খাতে ঋণ বিতরণের সার্বিক অবস্থা (বিতরণসহ) বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয়কে মাসিক বিবরণী প্রেরণ করবে।
১০. প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তাদের উপজেলা কার্যালয়ের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে নমুনা ভিত্তিতে এ স্কীমের আওতায় বিতরণকৃত ঋণের সদ্ব্যবহার যাচাই করবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় ঋণের সদ্ব্যবহারের কোন বিচ্যুতি পেলে তা সরাসরি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক শাখাকে জানাবে। ব্যাংক শাখা ত্রুটি-বিচ্যুতি নিরসনে ব্যর্থ হলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপজেলা কার্যালয় তাদের অধিদপ্তরকে জানাবে। পরবর্তীতে অধিদপ্তর বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে।
এসিএফআইডি সার্কুলার নং – ০২ এর অন্যান্য নির্দেশাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।